বড়াইগ্রামে তথ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং রোজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জাতীয় মহিলা সংস্থা পরিচালিত তথ্যআপা প্রকল্প (২য় পর্যায় ) এর তথ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ আনোয়ার পারভেজ ফিতা কেটে এর উদ্বোধন করেন।
জাতীয় মহিলা সংস্থার বড়াইগ্রাম উপজেলার চেয়ারম্যান নাজমা রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া আক্তার কলি, তথ্যসেবা কর্মকর্তা মনিরা খাতুন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন আখতার, জাতীয় মহিলা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন আহমেদ, জাতীয় মহিলা সংস্থার মাঠ সমন্বয়কারী শাহনাজ আরা ইয়াসমিনসহ, তথ্যসেবা সহকারী ফারহানা ইয়াসমিন ও গুলশানা আশরাফী, অন্যান্য কর্মকর্তাগণ ও স্থানীয় সুধীজন প্রমূখ।
নাটোরের বড়াইগ্রামে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মাধ্যমে মহিলা ক্ষমতায়ন প্রকল্পের (২য় পর্যায়) আওতায় তথ্যকেন্দ্রের মূল উদ্দেশ্য হলঃ
গ্রামীণ সুবিধা বঞ্চিত মহিলাদের তথ্য প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার এবং তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে মহিলাদের তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানে সমান অধিকার ও সুযোগ দিয়ে নারীদের সামাজিক অবস্থানকে উন্নত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে অবদান রাখছে ‘আইসিটি’ । ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’গড়ে তোলার মহৎ উদ্যোগ পরির্পূণভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে যদি ‘আইসিটি’ র ক্ষমতা ও দক্ষতার সাহায্যে নারীর ক্ষমতায়ন উদ্যোগকে গুণগত ভাবে এবং পরিমাপযোগ্য ভাবে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া যায়।
বাংলাদেশের গ্রামের অসহায়, দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত কিংবা কম সুবিধাপ্রাপ্ত নারীর তথ্যে প্রবেশাধিকার এবং তাদেরকে তথ্য প্রযুক্তির সেবা প্রদান নি:সন্দেহে নারীর ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নারী পুরুষের সমতা আনয়নে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে তথ্য আপা প্রকল্প।
তাই পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ নারী সমাজকে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করে নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্প।
প্রতি মাসে ২ দিন ৫০ জন নারীকে নিয়ে করা হয় ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পর উঠান বৈঠক হয়, সেখানে উপস্থিত থাকেন উপজেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান, শিক্ষা অফিসার, কৃষি অফিসার, স্বাস্থ্য অফিসার , বিভিন্ন সময় অন্যান্য অফিসারবৃন্দ, তথ্যসেবা কর্মকর্তা, তথ্যসেবা সহকারী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগন।
প্রতি মাসে ১২ দিন বিভিন্ন বিষয় গন সচেনতা জন্য দুই জন তথ্যসেবা সহকারী হাতে ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট নিছে ছুটে চলে যায় গ্রামের প্রতান্ত এলাকায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে। শিখিয়ে দেয় কিভাবে ইন্টারনেট সব তথ্য পাওয়া যায় ।
সর্বোপরি দ্বার উন্মুক্ত থাকে তথ্যকেন্দ্রের সেখানে যে কোন ধারণে সহযোগিতার জন্য থাকেন তথ্যসেবা কর্মকর্তা ও তথ্যসেবা সহকারী।
তথ্যকেন্দ্রের সেবা সমূহঃ
*বিনামূল্যে চাকুরির খবর, চাকুরির আবেদন ফর্ম পূরণ, বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল প্রদান।
*মহিলাদের দিক নির্দেশনা প্রদান।
*মহিলাদের উদ্যোগী হিসাবে গড়ে তোলা।
*উঠান বৈঠক ও মুক্ত আলোচনা। গ্রামীণ মহিলাদের জীবন ও জীবিকা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়
যেমন- স্বাস্থ্যগত সমস্যা, বাল্য বিবাহ, ফতোয়া, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, চাকুরী সংক্রান্ত তথ্য, আইনগত সমস্যা এবং ডিজিটাল সেবা সমূহের নানাদিক সম্পর্কে অবহিত করা।
*ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ সহাতায় ও শিক্ষা প্রদান।
*প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাঃ- ব্লাডপ্রেসার পরিমাপ, ওজন ও উচ্চতা পরিমাপ, ডায়াবেটিস পরীক্ষা প্রদান করা হয়।
*উপজেলা সরকারি সেবা সমূহের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা।
*বিনামুল্যে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ইমেইল, স্কাইপের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং সেবা প্রদান করা হয়।
*ই-লার্নিং এর মাধ্যমে প্রযুক্তিসম্পন দল গঠন করা হবে।
*ই-কমার্স সহায়তা প্রদান করা।
*ল্যাপটপ, ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রকল্প এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন, ব্যবসা, জেন্ডার এবং কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এবং স্কাইপের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তার সাথে সেবা গ্রহীতার কথোপকথনের মাধ্যমে সমস্যার কার্যকরী সমাধান করবেন।
এই প্রকল্পের ‘তথ্য আপা’ তথ্যকেন্দ্রে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ, বিশেষজ্ঞের মতামত গ্রহণ, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, সরকারি সেবা সমূহের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন, ব্যবসা, জেন্ডার, কৃষি বিষয়ক সেবা, ভিডিও কনফারেন্স, ই-লার্নিং, ই-কমার্সসহ নারীদের যেকোনও সমস্যা সমাধানে রয়েছে সদা সচেষ্ট।
এক কথায় সরকারের সঙ্গে সেবা গ্রহণকারীদের সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করছেন এই ‘তথ্য আপা’।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস